কয়লা: কয়লা সংকটে বিদ্যুতের ঘাটতি
1 min read
তবে কেন্দ্রের মতে, দ্রুত উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং আর্থিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতের চাহিদা আকাশচুম্বী হয়েছে। দেশে কয়লার অভাব নেই।
বেশ কিছুদিন ধরেই বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সংকটের কথা বলা হচ্ছে। এবার সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রিসিটি অথরিটির (সিইএ) সাম্প্রতিক তথ্য সেই ছবি আরও পরিষ্কার করল। সংস্থার মতে, কয়লা খনি থেকে দূরে অবস্থিত সমস্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে (কয়লার ক্ষেত্রে নন-পিথেড) গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে মাত্র 28% বেশি কয়লা ছিল। বিষয়টি বেশ উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, দ্রুত মজুদ না বাড়ালে তাপ আরও বাড়লে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হতে পারে।
তবে কেন্দ্রের মতে, দ্রুত উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং আর্থিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতের চাহিদা আকাশচুম্বী হয়েছে। এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ দেশে কয়লার ঘাটতি নয়, এই চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা।
CEA দেশের মোট 183টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। এর মোট উৎপাদন ক্ষমতা 202 গিগাওয়াট। 155টি কেন্দ্র খনি থেকে দূরে অবস্থিত। তারা 163 গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। অন্য কথায়, বেশিরভাগ পাওয়ার প্ল্যান্টই নন-পিটহেড। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এগুলোর মধ্যে কয়লার অভাবে স্বস্তি নেই। পিটের (পিটহেড) কাছাকাছি 16টি কেন্দ্রে সাধারণত কয়লার ঘাটতি থাকে না।
কয়লা সচিব এ কে জৈন অবশ্য বলেছেন, “এটি কয়লার সমস্যা নয়। বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে পার্থক্যের সমস্যা।
বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে কারণ অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বেড়েছে এবং অর্থনীতি স্বাভাবিকের চেয়ে আগে উষ্ণ হয়েছে। সচিব বলেন, দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের অধিকাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়লা আমদানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এর দাম অনেক বেড়ে গেছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, গত বছর বিভিন্ন খাত থেকে কয়লার সরবরাহ বন্ধ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানো হয়েছিল। এ বছরও করা হতে পারে। সরবরাহ বাড়াবে কোল ইন্ডিয়াও।