পার্থ চট্টোপাধ্যায়: পার্থের গ্রেপ্তার শিল্প দফতরকে প্রভাবিত করবে না
1 min read
প্রশাসনিক রীতি অনুযায়ী, কোনো বিভাগ হঠাৎ করে শূন্য হলে তা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যায়। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত সেই সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হয়নি।
রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তবে শিল্প বিভাগের কাজে কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন প্রশাসনের শীর্ষ মহল। স্টেকহোল্ডারদের যুক্তি যে এখন শিল্প বিভাগের পরিচালনা মূলত মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটির হাতে। সেই কমিটি আগামী দিনে সক্রিয় হবে।
প্রশাসনিক রীতি অনুযায়ী, হঠাৎ করে কোনও দপ্তর শূন্য হলে তা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যায়। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত সেই সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হয়নি। তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের ওপর জোর দিয়েছেন। ফলে শপথগ্রহণের পর থেকেই শিল্প বিভাগের প্রধানদের নিয়ে আলাদা উপদেষ্টা কমিটি গঠনের খবর শোনা যাচ্ছিল। কয়েক মাস আগে আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি গঠন করেছে রাজ্য। এর প্রধান মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এছাড়াও কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী ও সচিবরা। মুখ্যমন্ত্রী কমিটির প্রধান হওয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়।
এ বিষয়ে অনেক প্রশাসনিক পর্যবেক্ষক বলছেন, পার্থ বিভাগে মন্ত্রী থাকলেও শিল্প সচিব বন্দনা যাদব এবং মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর ভূমিকা প্রথম থেকেই শিল্প আন্দোলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকী, তাজপুর বন্দর, দেউচা পঞ্চমীতে কয়লা খনির প্রকল্প বা সিলিকন ভ্যালিতে আইটি বিনিয়োগ—সব ক্ষেত্রেই মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ও ঘোষণা চূড়ান্ত ছিল। তাই শিল্পমন্ত্রী না থাকলেও শিল্প বিভাগের কাজ বাধাগ্রস্ত হবে না। বরং মসৃণ হবে।
নতুন সরকার গঠনের পর, পার্থবাবু শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হন, কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই রাজ্যের শিল্প সম্প্রদায় তাকে খুব একটা সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি। গত বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে উভয় দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী অমিত মিত্র কিছুটা সক্রিয় ছিলেন। মূল ভূমিকা ছিল ওই কমিটির। পার্থবাবুর গ্রেফতার নিয়ে ইন্ডাস্ট্রি থেকে নানা মত উঠছে। কেউ কেউ মনে করেন, মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি এই দুই দপ্তরের দায়িত্ব নিলে ভালো হয়। নাকি রাজ্যের ‘ইমেজ’-এর খাতিরে পার্থবাবুর বদলে অন্য কাউকে সেই দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। ঐক্যসংঘের মতে, এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন না থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে একটি স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।